শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ তার ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামালা বরিশালে আন্তর্জাতিক নারী সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ পালিত সচেতনতামূলক সভা ও প্রচার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বেগম জিয়ার জন্য ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দোয়া দল থেকে মনোনয়ন পেল পটুয়াখালী-০১, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী ঘোসনা দিল পটুয়াখালী ৪ আসনে কলাপাড়ায় চালু হলো ‘মায়াজ মার্ট.কম’ — ঘরে বসেই মিলবে পণ্য সেবা কলাপাড়ায় মানবাধিকার দিবসে কৃষিনীতি বাস্তবায়নের দাবিতে নারী কৃষকদের মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন বাউফলে সেই আওয়ামী দোসর মকবুলের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা, পিবিআইকে তদন্ত বরিশালে সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিরোধে স্পীড ব্রেকার নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বরিশাল কাশিপুরে বিএনপি নেতার হামলায় জামায়তকর্মী গুরুতর জখম আপনারা শহীদ জিয়ার রাজনীতি করেন, আপনারা বেগম খালেদা জিয়ার রাজনীতি করেন রাস্ট্র কাঠামো মেরামতের লিফলেট বিতরণ বাউফলে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় বিএনপি নেতার শীতবস্ত্র বিতরণ বরিশালে ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত সাংবাদিক নেতা মনজুর হোসেন বেগম জিয়ার সুস্থতার জন্য ৯ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দোয়া চরফ্যাশনে যুবদল নেতার উদ্যোগে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া
ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে ভোলা সদর হাসপাতাল

ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে ভোলা সদর হাসপাতাল

Sharing is caring!

অনলাইন ডেক্স: সংস্কারের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভোলার ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের পুরাতন ভবনটি। সেখানে ছাদ থেকে মেঝেতে পলেস্তারা ধ্বসে পড়ে ঘটছে দুর্ঘটনা।

এতে আতিংক হয়ে পড়েছেন রোগী, নার্স ও চিকিৎসকরা।

এক সপ্তাহের মধ্যে তিন বার পলেস্তারা ধ্বসে হাসপাতালের পাঁচ নার্স আহত হওয়ারও ঘটনা ঘটেছে।

হাসপাতালটিতে ডায়রিয়া, মেডিসিন ও সার্জারি ওয়ার্ডের অবস্থা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। ভবনটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানিয়েছেন নার্স ও রোগীরা।

জানা গেছে, ভোলার উন্নত চিকিৎসার জন্য একমাত্র সেবা প্রতিষ্ঠান সদর হাসপাতাল। এখানে ইনডোরে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক এবং আউটডোরে তিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু ৬২ বছরের পুরনো হাসপাতাল ভবনটি এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।

রোগীরা মনে করছেন, পুরনো এ ভবনটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা কার্যক্রম। বর্তমানে হাসপাতালের অবস্থা যেন আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। জরাজীর্ন ভবন থেকে পলেস্তারা ধ্বসে পড়ার কারণে আতংকিত থাকছেন নার্স ও রোগীরা।

আমজাদ হোসেন নামে এক রোগী কলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে আরও ভয়ের মধ্যে আছি। কখন আবার ভবন ধ্বসে পড়ে এই ভয়ও মনে কাজ করে।

তাসলিমা বেগম নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডটি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে শিশুদের নিয়ে আরও ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়।

রোগীর স্বজন সাহাবুদ্দিন বলেন, আমারা হাসপাতালে আসি সুস্থ্য হওয়ার জন্য। কিন্তু হাসপাতালে এসে যদি ভয়ের মধ্যে থাকতে হয়, তাহলে কিভাবে নিশ্চিতে চিকিৎসা নিব!

হাসপাতালের কয়েকজন নার্স নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, রোগীদেরর সেবা দিতে গিয়ে আমরা নিজেরাই আতংকে থাকি। কখন ছাদ ধ্বসে পরে। এরই মধ্যে আমাদের তিনজন নার্স আহত হয়েছেন।

নার্সিং স্টুডেন্ট সুইটি আক্তার বলেন, ভবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকার কারণে রুমের বাইরে মেঝতে বসে চিকিৎসা দেই। তারপরেও মনে ভয় কাজ করে।

সিনিয়র স্টাফ নার্স নুরে জান্নাত বলেন, হাসপাতালের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় অনেকেই আতংকে থাকেন। জরুরি ভিত্তিতে ভবন সংস্কার করা প্রয়োজন।

নার্সিং সুপারভাইজার নাসিমা বেগম বলেন, গত এক সপ্তাহে হাসাপাতালের ডায়রিয়া, পুরুষ সার্জারি ও মেডিসিন ওয়ার্ডে ছাদেন পলেস্তারা ধ্বসে তিন জন নার্স আহত হয়েছেন। জরুরি ভিত্তিতে ভবনটি সংস্কার করা প্রয়োজন। আমরা এটা নিয়ে ভয়ের মধ্যে থাকি।

হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডের মধ্যে বিশেষ করে ডায়রিয়া, মহিলা ও পুরুষ মেডিসিন এবং সার্জারী ওয়ার্ড বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মুহাম্মদ লোকমান হাকিম বলেন, গণপূর্ত বিভাগকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জানানো হয়েছে। ভবনটি অনেক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে।

১৯৬২ সালে ১০ শয্যা দিয়ে শুরু হয়েছিল হাসপাতালটির কার্যক্রম। পরে ১৯৭২ সালে এটি ৫০ শয্যা এবং ২০০০ সাল থেকে ১০০ শয্যায় বর্ধিত করা হয়। আর গত তিন বছর ধরে একই ভবনে চলছে ২৫০ শয্যার কার্যক্রম।

এ হাসপাতালের কার্যক্রম নতুন ভবনে স্তনান্তিরিত করে ঝুঁকিমুক্তভাবে সেবার মান বৃদ্ধি করার দাবি জানান ভোলাবাসী।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD